হাবিবুর রহমান,মদনঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলার
নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক হামজা (২০) এর বাড়িতে প্রেমা আক্তার (১৯) নামের এক যুবতী গত(১লা মার্চ )রোজ বুধবার থেকে অনশনে বসেছেন ওই তরুণী।
অনশনে থাকা যুবতী প্রেমা আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার পারবারিয়া ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের আসু মিয়ার মেয়ে।
প্রেমিক হামজা মিয়া মদন উপজেলা নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। দীর্ঘ দুই বৎসরের প্রেম দেওয়া-নেওয়ার শেষে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে নিজ বাড়িতে আনেন প্রেমিক হামজা মিয়া।মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নিজ বাড়িতে আনার পর থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে, প্রেমিক হামজা মিয়া।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে থাকা যুবতী প্রেমা আক্তার বলেন,(২ বছর) ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সর্বস্ব নষ্টও করছে সে , এখন সে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমি হামজার বাড়িতে আসলে তার বাবা আবু বক্কর আমাকে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন উল্টো হামজা চাচা আমাকে মারধরও করেছে, আমি চলে যাওয়ার জন্য।
আমার সর্বস্ব নষ্ট করেছে, হামজা এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই আমার।
প্রেমিক হামজার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক হামজা পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছে, প্রেমিক হামজার পরিবারের ঘরে থাকা একমাত্র তার দাদির সাথে কথা বলে জানা যায়, বিষয়টি শেষ করার জন্য দুপক্ষেরই আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply